বাংলাদেশে পাসপোর্ট ফি এখন ব্যাংক এবং অনলাইনে জমা দেয়া যায় – মোবাইল ব্যাংকিং বা এ চালানের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া এখন পানির মত সোজা – ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২২
ই-পাসপোর্ট পেমেন্ট – ই-পাসপোর্ট ফি নিম্নোক্ত উপায়ে প্রদান করা যাবে- ১। অনলাইন। (ekpay-এর মাধ্যমে) (Payment option: VISA, Master Card, American Express, bKash, Nagad, Rocket, Upay, Dmoney, OK Wallet, Bank Asia, Brack Bank, EBL, City Bank, UCB, AB Bank, DBBL, Midland Bank,MBL Rainbow)। অনলাইন ই-চালান পেমেন্ট স্লিপ চেক এবং ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন অথবা এখানে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসের জন্য আবেদন- এই আবেদন ফর্মটি কেবলমাত্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য। অন্যান্য পাসপোর্ট অফিসগুলিতে আবেদনের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না। তালিকাভুক্তির আগে আবেদনকারীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে। আপনি যদি বাংলাদেশ সচিবালয়ে আবেদনের যোগ্য হন, তবে আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করুন, প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পূরন করুন এবং তালিকাভুক্তির জন্য উপস্থাপন করুন। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- ১। প্রথমে পিডিএফ ফর্মটি কম্পিউটারে ডাউনলোড করে নিন। ২। সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাংশন সমর্থন করার জন্য “Adobe Acrobat Reader” সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে আবেদনটি পূরন করুণ। অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক মেশিন রিডেবল ই-পাসপোর্ট তৈরি সংক্রান্ত।
অফলাইন (এ-চালানের মাধ্যমে দেশের সকল
সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যাংক থেকে পরিশোধ করা যবে। অফলাইন এ-চালান পেমেন্ট
স্লিপ চেক এবং ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
নিয়মিত বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ১৫ কর্মদিবস /২১
দিনের মধ্যে। জরুরী বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ৭ কর্মদিবস
/ ১০ দিনের মধ্যে।
অতীব জরুরী বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ২ কর্মদিবসের
মধ্যে। সরকারি চাকরিজীবি যাদের এনওসি(NOC) /অবসর সনদ (PRL) রয়েছে তারা
নিয়মিত ফি জমা দেওয়া সাপেক্ষে জরুরী সুবিধা/ জরুরী ফি জমা দেওয়া
সাপেক্ষে অতীব জরুরী সুবিধা পাবেন। অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন ও ফি জমা দিন ঘরে বসেই।
ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে মেয়াদ ও সেবার ধরণ ভেদে পাসপোর্ট ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে / ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি বাংলাদেশ
সরকারি চাকরিজীবি যাদের এনওসি(NOC) /অবসর সনদ (PRL) রয়েছে তারা নিয়মিত ফি জমা দেওয়া সাপেক্ষে জরুরী সুবিধা/ জরুরী ফি জমা দেওয়া সাপেক্ষে অতীব জরুরী সুবিধা পাবেন। অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে চাইলে NOC Form সংগ্রহে রাখুন
Caption: Download E Passport Form PDF
ই-পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের নিয়মাবলী ২০২২ । ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলি
- ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
- ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
- ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
- অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে। - তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
- দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
- আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
- ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
- প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
- দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
- কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
- বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
- অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
- (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের
সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা
সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। - আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
- পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
- হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
- ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।