প্রসূতি (মাতৃত্ব) ছুটি সংক্রান্ত বিধি বিধান
বি এস আর -১৯৭, এফ ্আর-১০১ এবং এস আর (এফ আর)-২৬৭, ২৬৮
ক) প্রসূতি ছুটির মেয়াদ ৬ (ছয়) মাস। গর্ভবতী হওয়ার পর যে তারিখ হইতে ছুটিতে
যাওয়ার আবেদন করিবে, ঐ তারিখ হইতেই ৬ (ছয়) মাসের ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।
তবে উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে
আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হইতে পারিবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হইবে সন্তান প্রসবের তারিখ। উল্লেখ্য গর্ভবতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ আবেদন করা হইলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ছয় মাস অপেক্ষা কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নাই। বি এস আর - ১৯৭ (১)
আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হইতে পারিবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হইবে সন্তান প্রসবের তারিখ। উল্লেখ্য গর্ভবতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ আবেদন করা হইলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ছয় মাস অপেক্ষা কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নাই। বি এস আর - ১৯৭ (১)
খ) গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তকর্তা এই ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয়
ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর জন্য
ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বি এস আর - ১৯৭ (১), ১৪৯ ও ১৫০
গ) সমগ্র চাকরি জীবনে প্রসূতি ছুটি দুইবারের বেশি প্রাপ্য নয়। বি এস এর- ১৯৭ (১)
ঘ) প্রসূতি ছুটি “ছুটি হিসাব” হইতে বিয়োগ হইবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির
জন্য ছুটি অর্জন করিতে হইবে না এবং পাওনা ছুটি হইতে প্রসূতি ছুটিকাল বাদ
যাইবে না। বি এস এর- ১৯৭ (১বি)
ঙ) ছুটি ভোগকালে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্র বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য। বি এস এর- ১৯৭ (১)
চ) ডাক্তারী সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার
ছুটির আবেদন করিলে প্রসূতি ছুটির ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি মঞ্জুর
করা যাইবে। এফ আর এর এস আর -২৬৮ এবং বি এস আর-১৯৭(২)
ছ) অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর -২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত
বিশ্লেষণ: এসআরও নং ৮৪/নথি নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.০৮.০০১.১২/আইন/২০১২, তারিখ: ১
এপ্রিল ২০১২ দ্বারা সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখে চাকরির মেয়াদ নয় মাস
পূর্ণ হয় নাই, এইরূপ অস্থায়ী কর্মচারীওক প্রসূতি ছুটি প্রদান না করা
সংক্রান্ত বি এস এর, পার্ট-১ এর বিধি ১৯৭ এর নোট বিলুপ্ত করায় চাকরির মেয়াদ
নির্বিশেষে সকল অস্থায়ী কর্মচারীগণও প্রসূতি ছুটি পাইবেন।
জ) মহিলা শিক্ষানবীশ (Lady Apprentices) এবং পার্ট-টাইম মহিলা ল’অফিসার
প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর-২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত।
উপরের বয়ান পড়ে আমি যা বুঝলাম:
১. ডাক্তার কাউকে গর্ভবতী ঘোষনা করে সার্টিফিকেট প্রদান করলে সেই
সার্টিফিকেটসহ প্রসূতি ছুটির আবেদন করলে কারো সাধ্য নেই ছুটি না মঞ্জুর
করার। আর এটা সমগ্র চাকরি জীবনে ২ (দুই) বার পাওয়া যাবে।
২। সন্তান প্রসবের দিন হতে অথবা তার আগের যেকোন দিন হতে ৬ (ছয়) মাস ছুটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৩। ছুটিতে থাকাকালীন বেতন আগের মতোই পেতে থাকবেন।
৪। এই ছুটির সাথে অন্য ছুটি নেওয়া যাবে সেক্ষেত্রে একদিনের জন্য কর্মে যোগদান করে আবার ছুটি নেয়ার মতো কোন ফালতু বিষয় নেই।
৬। যে সরকারি কর্মচারী আজ যোগদান করলো সেও আগামিকাল থেকে এই ছুটি ভোগ করতে
পারবে। আগে এটা ছিল চাকরি ৯ (নয়) মাস পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে। আইনটি যারা তৈরি
করেছিলেন তারা হয়তো ভেবেছিলেন চাকরির সাথেই সরকারি চাকরিজীবি মহিলাদের
বিয়ে হয় আর ৯ মাস পর বাচ্চা প্রসব হয়।
৭। ৬ (ছয়) মাস মানে ৬ (ছয়) মাস। এটা ১৮০ দিনও হতে পারে আবার কম বেশিও্ হতে
পারে। এটা নিয়ে রশি টানাটানি করতে করতে বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলে দায় কে নিবে
আমি জানিনা।
৮। কোন এক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তার মহিলা কর্মচারিকে ২য় মাতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর
করবেন না বলে মত দিয়েছেন। ব্যাখ্যা হিসেবে বলেছেন ঐ মহিলা ইতোমধ্যেই দুই
সন্তারের জননী যদিও প্রথম বাচ্চা চাকরিতে যোগদানের পূর্বেই জন্মগ্রহণ
করেছে। আমার বড় ইচ্ছে হয় সেই কর্তাব্যক্তিটিকে দেখার।