প্রধান শিক্ষকদের আপগ্রেড স্কেল বাস্তবায়ন জটিলতা নিরসনে "বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে সিনিয়র সহকারি সচিব জনাব জাজরীন নাহার ম্যাডামের পরামর্শ অনুযায়ী  মূল কাজ ছিল আমাদের মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয়ের নিকট জটিলতা নিরসনে একটি আবেদন করা। প্রধান হিসাবরক্ষকণ কর্মকর্তা জনাব মৃত্যুঞ্জয় সাহা স্যারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে গতকাল যে মিটিং হয়েছিল সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও হিসাবরক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে একটি আবেদন নিয়ে প্রথমেই আমরা জনাব জাজরীন নাহার ম্যাডামের সাথে সাক্ষাত করি। তিনি সরাসরি সচিব স্যারের কক্ষে তা জমা দেওয়ার জন্য বলেন এবং আমরা তা জমা দিয়ে রিসিপ্ট কপি সংগ্রহ করি এবং মম্যাডামকেও এক কপি দেই। এই সময় সচিব স্যারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্যারকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে ও গুরুত্বের সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্যারের সামনে উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করলে তিনি তা করবেন বলেছেন, তবে আমাদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন এবং এধরনের স্কেল পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন হতে ৩/৪ বছরও লেগে যায় বলে বিভিন্ন উদাহরন দিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিজন প্রধান শিক্ষকের নামে গেজেট প্রকাশিত হবে এবং এর পর সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও বলেছেন।
এরপর  চার সদস্য বিশিষ্ট (আহবায়ক জনাব রিয়াজ পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক জনাব নজরুল ইসলাম, জনাব খায়রুল ইসলাম ও জনাব শেখ মুহাম্মদ সাইদুল্লাহ) প্রতিনিধি দলটি অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব স্যারের কার্যালয়ে আবেদনের কপি দাখিল করি এবং নিন্ম লিখিত কর্মকর্তাগণের সাথে সাক্ষাত করে মৌখিকভাবে সমস্যাটির প্রতিকার চাই ও আবেদনের কপি প্রদান করি।
১। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব সন্তোস অধিকারী স্যার,
* অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থবিভাগ এর
২। বাস্তবায়ন-১ এর উপ-সচিব জনাব জিনাত আরা  ম্যাডাম,
৩। প্রসাশনিক কর্মকর্তা জনাব উজ্বল কুমার ঘোষ স্যার এবং সর্বশেষ
৪। অতিরিক্ত সচিব জনাব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী স্যার।
উপরোক্ত ব্যাক্তিগনের বক্তব্য---

 
১। সন্তোস অধিকারী স্যার অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে বিভিন্ন ডকুমেন্টস দেখেন এবং অর্থমন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়ন-১ এর ২৭/১১/২০১৪ তারিখের জিনাত আরা ম্যাডামের চিঠিটির পৃষ্টাংকন/ব্যাখ্যা ঐ চিঠির উল্টা পৃষ্টায় আছে বলে জানিয়ছেন।স্যার নিজে এটা করিয়ে এনেছেন বলে জানিয়ছেন এবং জাজরীন ম্যাডাম খুবই ব্যস্থ থাকার কারনে আর সেটা উদ্ধারের চেষ্টা করতে পারিনি আমরা। তবে স্যার বলেছেন সারা বাংলাদেশ জুড়ে যেহেতু এই সমস্যা তাই এটা নিরসন করতেই হবে। আগে পৃষ্টাংকন/ব্যাখ্যাটি সংগ্রহ করুন।
২। জিনাত আরা ম্যাডাম বলেছেন ব্যাক্তিগত ভাবে এ ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই, তবে আপনাদের মন্ত্রনালয় আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইলে, আমাদের সচিব স্যার আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি অবশ্যই বিষয়টি দেখব।
৩। উজ্বল কুমার ঘোষ স্যার ২৫ তারিখের মতই আবারও বলেছেন আপনাদের মন্ত্রনালয়/অধিদপ্তর এটার বিস্তারিত প্রজ্ঞাপন জারী করবে। তার আগে প্রয়োজন হলে বাইনেইমে গেজেট প্রকাশ করবে। তাই আপনার মন্ত্রনালয়কে বলুন।
৪। বাসপ্রাবিপ্রশি সমিতির একজন সক্রিয় সদস্যের নিকটজন জনাব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী স্যার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আমাদের সাথে বসেছেন। খুবই ধৈর্য্য, আন্তরিকতার সাথে যাবতীয় ডকুমেন্টস দেখেছেন। আমরা প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় স্যারের গতকালের মিটিংয়ের তথ্য দিলে স্যার আমাদের সামনেই তাকে ফোন দেন এবং এ ব্যাপারে অনেক্ষণ কথা বলেন। তিনি বলেন "শিক্ষকদের এই সমস্যাটি এতদিনেও আপনাদের মন্ত্রনালয় নিরসন করতে পারলো না। ২য় শ্রেণী বলতে তো ৮০০০/- টাকাই জানতাম, পড়ে জানলাম ৬৪০০/-ও ২য় শ্রেণী। " স্যার বলেন হয়তো ২য় শ্রেণী, ৬৪০০/- এবং ৮০০০/- এই তিনটি বিষয় নিয়ে কোন একটা জটিলতা হতে পারে। আমরা বলেছি স্যার ২০০৯ সালের বতন স্কেলের ৭(২)(৯) ধারা মোতাবেক ২য় শ্রেণী মানে গেজেটেড, ৮০০০/- ও সেল্ফড্রয়িং সবই প্রাপ্য। " স্যার সেটা এগ্রি করেছেন এবং এসব ব্যাপারে আপনাদের মন্ত্রনালয়ের যার যার সাথে কথা বলা প্রয়োজন আমি তাদের সাথে কথা বলে কি করতে পারি, আমি দেখব।" শিক্ষকরা একবছর ধরে এরকম প্রব্লেমে আছেন জেনে তিনিও অনেকটা ব্যথিত হয়েছেন। আমাদেরকে স্যার তার কার্ড দিয়েছেন, পরবর্তীতে দেখা করতে বলেছেন।
যেহেতু সারাদিন ছিলাম এবং সব জায়গায় দীর্ঘ্য সময় নিয়ে কথা বলেছি তাই সব কথা এখানে প্রকাশ করা অসম্ভব ব্যাপার, আর সবকথা এই মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিৎও হবেনা। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আবেদনের কপি প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ও আমাদের মহাপরিচালক মহোদয়গণের কাছে দখিল করা হবে। আমরা চাচ্ছি আপগ্রেড স্কেলে সিনিয়র/ জুনিয়র সকল প্রধান শিক্ষকই বেনিফিট পান এবং আগামী পে স্কেলের আগেই তা বাস্তবায়িত হোক। অবশ্য প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা জনাব মৃত্যুঞ্জয় সাহা স্যার অত্যান্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে আশ্বাস দিয়েছেন পে-স্কেল কার্যকরের আগেই সকল সমস্যা দূর হবে। যেহেতু বিষয়গুলো একাধিক মন্ত্রনালয় ও দপ্তরের সাথে যুক্ত, তাই কিছুটা সময় লাগবে, সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে।

admin

I am simple

Post a Comment

Previous Post Next Post